এতিম বাচ্চাটির নাম মোঃ সাগর মিয়া, পিতাঃ মৃতঃ বাবুল মিয়া, মাতাঃ হাসিনা বেগম, গ্রামঃ সাড়ারকোনা, থানাঃ মধ্যনগর, উপজেলাঃ ধর্মপাশা, জেলাঃ সুনামগঞ্জ। ছেলেটির বয়স বর্তমানে ৯বছর। বিগত ১বছর আগে হঠাৎ তার বাবা মারা গেলে সংসার যখন অচল হয়ে গেল তখন এই ছেলেটি সংসারের হাল ধরার জন্য মধ্যনগর বাজারে এই ৮বছর বয়সে একটি চায়ের স্টলে চাকুরী নেয়। স্টলটি মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে অবস্থিত লিটন সরকারের। ছেলেটি যখন পরিষদে চা নিয়ে আসতে শুরু করল তখন মধ্যনগর ইউনিয়নের শিক্ষা অনুরাগী সম্মানিত ইউপি সদস্য ও অত্র পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আর্শাদ মিয়ার দৃষ্টিতে পরলে তিনি পরিচয় জানতে গিয়ে এই বয়সে স্কুলে যাওয়ার কথা কিন্তু তুমি চা স্টলে কেন? জানতে চাইলে তার পারিবারিক পরিচয় বলে। তাতে জানা যায় অসহায় দরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা সন্তান। যে পরিবারে একবেলা ভাত জুটানোর মত কোন লোক নেই। ছেলেটির লেখাপড়া করার আগ্রহ দেখে অত্র পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব প্রবীর বিজয় তালুকদার এতিম বাচ্চাটির লেখাপড়া করার যাবতীয় দায়িত্ব নেন। ছেলেটি গত বছর ২য় শ্রেণী হইতে ৩য় শ্রেণীতে উর্ত্তীর্ণ হয়েছিল। ছেলেটিকে আগামী সপ্তাহে মধ্যনগর বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্মানিত চেয়ারম্যান সাহেব ভর্তি করে দিয়ে তার শিক্ষাজীবনের সূচনা করবেন। শিক্ষাবান্ধব চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার বিগত ৩বছর আগে মধ্যনগর ইউনিয়নের সম্পদপুর গ্রামের মিতু মালাকার নামে একটি মেয়েকে সংসারের দৈন্যতার কারেন বাল্য বিয়ে দেওয়া থেকে রক্ষা করে অধ্যাবদি পর্যন্ত যাবতীয় লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে মেয়েটি এইচএসসি ২য় বর্ষে পড়ে। পিঁপড়াকান্দা গ্রামের কম্পা সরকার নামের একটি দরিদ্র পরবারের মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন সম্মানিত চেয়ারম্যান। উক্ত এতিম ছেলেটির মামার বাড়ি অত্র পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সাহেবের গ্রামে হওয়ায় তিনিও সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। অভিনন্দন জানাই সম্মানিত চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে। পাশাপাশি ফুটফুটে বাচ্চাটির জন্য সকলের কাছে দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করছি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস